Sunday 25 August 2013

আমরা কি করব ? ৩

এ কথাটা নিখাদ সত্য যে, যে সময় মহামানব ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ইহ-পরকালের মুক্তির দ্বীন,ইসলাম নিয়ে ধরাধামে অবতীর্ণ হ'ন বিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে এত উন্নত ছিল না । আজিকার মত বিশ্বময় দ্রুততম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ছিল না । বলাবাহুল্য, বর্তমান জমানায় এই দ্রুততম যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিরই ফসল । আজ আমাদের মনে বাসনা জাগ্রত হওয়া মাত্রই সহস্র নয় কয়েকসহস্র কিলোমিটার দুরের মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ বা প্ত্র বিনিময় করতে পারি । সুখে-দুখে, হর্ষ কিংবা বিষাদে  মাত্র কয়েক সেকেণ্ড সময়ের ব্যবধানে অট্টহাস্য কিংবা বিলাপে মুখরিত ক'রতে পারি । এতকিছু সুফল পাওয়ার পর ও কি আমরা ফিরতে পারি সেই যুগে, যে যুগে একটা সংবাদ মাত্র পৌছাতে সময় লাগত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক মাস এমন কি বছর ও ।
এই বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান মনস্কতা আজ আমাদের দেহ-মনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে । কাছাকাছি অনেকটা গোঁড়ামিতে পৌছে গেছি । বিশ্বের প্রায় প্রতিজন, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান ও ব্যবস্থাপনা ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, ভাবি । শয়নে,স্বপনে, ভোজনে, বিলাসে বিজ্ঞান প্রসুত প্রযুক্তি আজ আমাদের  নিত্য সঙ্গী । পাশাপাশি সাহিত্য,দর্শন, ইতিহাস,যুক্তিশাস্ত্র ও রাজনীতিতেও অনেক এগিয়ে গেছি । মায় মানব সভ্যতা বিধ্বংশী কলা শিল্পে ও পিছিয়ে নাই । এক কথায়, সে যুগ আর এ যুগের মাঝে বিস্তর ফরাক । ঐতিহাসিক কিংবা ফেলে আসা প্রাগৈতিহাসিক যুগের জীবন জীবিকা, ভাবধারা, চিন্তাধারা আজ প্রায় শতকরা ৯৯ জনের কাছে অপাংতেয় । প্রায় সকলেই চায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র হোক যুক্তিনির্ভর আধুনিকতায় ভরা । ভাবতে অবাক লাগে, যারা আমরা এরুপ চিন্তায় অভ্যস্থ, তারা কিন্তু সকলেই যুক্তিনির্ভর শাস্ত্রে কিংবা দর্শনের পণ্ডিত নই ।  ফলতঃ কোন ক্ষেত্রে কোন যুক্তি প্রযোজ্য অথবা অপ্রযোজ্য তাই জানিনা, সুতরাং এই বিজ্ঞান মনস্কতাই আবার জন্ম দেয় নব নব সমস্যার । কে বোঝাবে তাদের কাকে বলে সাক্ষ্য আর কাকে বলে সংবাদ । কে বোঝাবে রাজনীতি,অর্থনীতি, ধর্মনীতি ও সমাজনীতির মাঝে প্রভেদ ?? ওরা যে স্বার্থটাকেই আঁকড়ে ধ'রে ভাবে আমরা ধার্মিক, রাজনীতিক ও নৈয়ায়িক ? সাধারন অসাধারণের বাছ বিচার এখানে নেই । বহু পণ্ডিত ও আলেমকে আপনি দেখবেন রাজনীতির মানদণ্ড দিয়ে ধর্মের ধ্বজা বহন করছে, অথচ সে রাজনীতি ধর্মের অনুমোদন পায়নি । পক্ষান্তরে বহু সাধারণ অশিক্ষিত জনকে দেখবেন  ওরা ধর্ম পালন করে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় আর রাজনীতি যদি ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তবে তা বর্জন করে,অন্যথায় মেনে নেয় । যাক গে সে সব কথা । যা বলছিলাম । ইসলামের প্রাথমিক কালে এত আধুনিকতা না থাকায় আজ যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন ?  যেমন ধরুন প্রতিদিন নামাজ পড়তে আমাদের সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয় ।বছরে ১ মাস রোজা করতে চাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয় । এছাড়া হজ্ব,কোরবানী, ইদ্দত, তালাক, শবে কদর,আশুরা ইত্যাদির জন্য চান্দ্র মাসের গনণা  প্রয়োজন হয়ই হয় । এক্ষেত্রে বিশেষতঃ নামাজে আমরা ঘড়িকে মানদণ্ড করব নাকি সূর্যের অবস্থানকে ?  চান্দ্রমাস গনণা করতে দুরের সংবাদ নাকি স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা বা সাক্ষ্যভিত্তিক প্রত্যয় নিয়ে চান্দ্রমাসের শুরু এবং শেষকরা ? এ ব্যাপারে ধর্মীয় বিধানের পর্যন্ত্য অপব্যাখ্যা করতে, আমরা ছাড়ছি বলে মনে হয়না । আমি বলি বিজ্ঞানের সুফল ভোগ করা ভাল, কিন্তু আপনার ধর্মীয় সকল বিধানকে বাদ দিয়ে নয় । বিজ্ঞান মনস্কতা ভাল, গোড়ামি নয় । বিজ্ঞান আল্লাহর দেওয়া মঙ্গলের অন্যতম । একে কাজে লাগিয়ে মানুষ কিংবা ইসলাম খুন করা অমঙ্গল  ছাড়া  কিই বা হ'তে পারে?

Tuesday 20 August 2013

আমরা কি করব ? ২

বর্তমান জমানায় বিজ্ঞান,প্রযুক্তি ও দর্শনশাস্ত্রের প্রভূত উন্নতির সাথে  সাথে মানুষের মনন ও চিন্তন প্রক্রিয়াগুলির ও ক্রমোন্নতির পথ বেয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে । অতীতকালের সকল ভাবনা-চিন্তা  ও রুচিবোধ কার্যতঃ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপযোগ্য কি না এ বিষয়ে অনেকেই দ্বিধা ও দ্বন্দগ্রস্ত । মুক্ত চিন্তার অনেক দাবীদারগণ বলেন, " যে যুগে আজকের মত যুক্তিবাদী মানুষ এবং উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ছিল না, সে যুগের উন্নত সমাজব্যবস্থার নাম ধর্ম । ইসলাম ও তার ব্যতিক্রম নয় ।" বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগুরু মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেকেই আজ এই বিকারে বিকারগ্রস্ত । বিকারগ্রস্ত মানসিকতার শিকার । জরা ও রোগগ্রস্ত মানসিকতা আজ জন্ম দিয়েছে নিজ ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান বিষয়ে অনেক নতুন নতুন সমস্যার । ইসলামী মৌলিক ইবাদতের তৃতীয় বুনিয়াদ রোজার শুরু এবং শেষ নিয়ে বিভ্রান্তির শেষ নেই । বিভ্রান্তিকর এই জটিল পরিস্থিতি মাঝে মাঝেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ।  অস্বস্তির ও শেষ থাকে না আল্লাহ ও রসুল (দঃ)প্রেমী এবং ইসলামী মৌলিক বিধান পালনকারী ভাই ও বোনেদের । কি যে অস্বস্তিকর এবং বিভ্রান্তি তা ভুক্তভোগী ব্যতিরেকে আর কেউ বোঝে না ।
প্রকৃ্ত কারণ অনুসন্ধান ক'রে জানা গেছে যে, ইসলামী বাস্তব চেতনা ও আদর্শ আজ যন্ত্র নির্ভর । অনুধ্যান, আদর্শ সকল অধুনা যন্ত্র গোঁড়ামিতে পর্যবসিত । হকপন্থি ওলামাদের একাংশ আজ হীনমন্যতার শিকার । জনগনের চাহিদার কাছে আজ তারা পরাস্ত । পক্ষান্তরে ইসলামের বিরোধী শক্তির কাছে  আত্মসমর্পন । সাধারণ মানুষ, সাধারণ শিক্ষিত তৎসঙ্গে দূর্ভাগ্য হ'লে কিছু আলেম এর মোহজালে আবদ্ধ । তারা বলতেছেন "অজ্ঞতা যুগের সকল নিয়মনীতি আঁকড়ে ধ'রে থাকার চেয়ে যুগোপযোগী চাহিদা এবং সুযোগসুবিধা গ্রহন ক'রে মুসলমান এবং আধুনিকতার মধ্যে চলনসই ও মানানসই একটা বোঝাপড়া করা আমাদের কর্ত্তব্য ।"
রোজার শুরু এবং শেষ নিয়ে যে বিতর্কের ঝড় ওঠে এটা মানসিকতারই প্রতিফলন । ঝড়ের মূল কারণ হ'ল স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা ও টিভি, মোবাইল ফো্‌ন,ওয়ারলেস ইত্যাদির সংবাদে ঈদ উদযাপন করা । সত্যি কথা বলতে কি, যখন এই ঝড় চলতে থাকে তখন বহু মুসলিম পল্লীতে এত অস্থিরতা প্রকাশ পায় যে কখন কখন কথা কাটাকাটির স্তর গিয়ে ঠেকে মাথা ফাটাফাটিতে । সঠিক শরিয়তী নির্দেশ বা বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে করবার অবকাশ পান না । নিজের মনগড়া যুক্তি আর জেদ, দখল ক'রে নেয় সকল ন্যায়নীতি আর মূল্যবোধ ।
এই ভয়াবহ পরিণতি নিরসনের হেতু ইসলাম যাদের প্রাণ প্রিয় তাঁদের আহবান জানাই অতীতের দিনগুলিতে ফেরার ।  যন্ত্র ব্যবহার করুন, আপনার প্রয়োজন ও চাহিদা পূরনের নিমিত্ত । ইসলামের কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে সুন্নত মেরে বিদায়াত উপহার দিয়ে নয়।  যান্ত্রিক যুগে যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, তাই বলে কি খানা,দানা,প্রস্রাব, পায়খানা সবই যন্ত্রে ভাল নাকি ?? ইসলামী বিধান ত্যাগ করা নিন্দনীয়, ভ্রুকুটি ক'রে (হিলা) পরিবর্তন পরিবর্ধন কিন্তু প্রশংসনীয় নয় ।

Monday 19 August 2013

আমরা কি করব ??

আজ সমাজের যে, হাল হকিকত আর চালচিত্র তাতে শতকরা অন্ততঃ ৯০ জন লোক অথবা তার ও কিছু অধিক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা চিন্তিত,এই জন্য যে, এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজে আমার তথা আমাদের করণীয় কি ?? কেহ ভাবছে অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজের দোষত্রুটিটা কি একবার দেখেছি ? কেহ বা বলছে " আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও" । কেহ বলছে অন্যের দোষের
খানাতল্লাসি করার চাইতে চুপ থাকাই শ্রেয়ঃ । সহজ এবং সোজা সাপ্টা কথা হ'ল নিজে দোষমুক্ত যেহেতু কেহই নেই, সুতরাং অন্যকে উপদেশ দিবার মত কর্তব্য ও অধিকার কারুরই নেই ।
 আজকের সমাজে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে নির্দোষ ব্যক্তি দৃষ্টিগোচরই হয় না । কেহ সুদখোর তো কেহ  ঘুষখোর । কেহ নারী নির্যাতনকারী তো কেহ ব্যভিচারী ।  কেহ পকেটমার, আবার কেহ
লুঠেরা । এককথায় মানুষের মেলায় নির্মল চরিত্রের মানুষ মেলা দায় । তাহ'লে কে কাকে হিতোপদেশ দেবে ? ভাববার বিষয় ?
 আসুন, এবারে মানুষ সম্পর্কে কিছু কথা আলোচনা করা যাক । মানুষ চিরকালই মানুষ । মানুষ মানেই দোষ এবং গুণের সমন্ময় । মানুষের চরিত্র কোনদিন শুধু গুণ আর গুণে গুনান্বিত ছিল না ।
আবার এমন ও কোনদিন আসবে না বা ছিল না যে, মানুষ শুধুমাত্র দোষের আকর । প্রতিটি মানুষের মাঝে কিছু আছে দোষ, যা তাকে করে লাঞ্ছিত ও অধঃপাদিত  । আবার তারই মাঝে আছে কিছু গুণ যা তাকে দেয় স্বস্তি ও আনন্দ । শুধুই গুনের দ্বারা মানুষের চরিত্র গঠিত হলে মানুষ তো আর মানুষ থাকত না, সে হ'ত ফিরিস্তা । পক্ষান্তরে শুধুই দোষ থাকলে হ'ত অভিশপ্ত শয়তান ।
আদতে মানুষ ফিরিস্তা ও নয় শয়তান ও নয়, মানুষ মানুষই ।মানুষের মাঝে দোষ ও গুণ উভয়ই থাকবে প্রভেদ শুধু কম বেশির । পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে কারো মাঝে দোষ বেশী গুণ কম,
আবার কারো মাঝে গুণ বেশী দোষ কম,কারো মাঝে সমান সমান । যে সমস্ত ব্যক্তির মাঝে গুণের সমাহার বেশী আমরা তাদেরকে সৎ ব্যক্তি বলেই চিহ্নিত করে থাকি, পক্ষান্তরে যার মাঝে দোষ
বেশী তাদেরকে অসৎ ব্যক্তিরুপেই পরিগণিত করি । হ্যাঁ,তবে নিজের মাঝে মূল্যায়ণ ক্ষমতার অভাবহেতু কখন ভালকে মন্দ এবং মন্দকে ভাল বলে, ভুল ও করি । পরিসংখ্যানে দোষ-গুণের সমাহার যাই হোক না কেন, সবার মাঝে একই ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় না । ফলতঃ যার মধ্যে যে দোষ নাই সে অন্যকে নিজের মাঝে ভিন্নধর্মী দোষ থাকা সত্বে ও হিতোপদেশ দিয়া থাকে । কখন ও সখন ও একই দোষ অত্যন্ত গোপনীয় হওয়ার কারনে, সে বিষয়ে ও কেহ কেহ হিতোপদেশ দিয়ে থাকে । এর যে একটা যুক্তিগ্রাহ্য কারন আছে তা বলাই বাহুল্য ।
উল্লেখ্য যে,ব্যক্তিমাত্রেই স্বার্থনামক দোষ বা গুণের কবলিত । তাই  নিজ স্বার্থেই মানুষ একে অপরকে হিতোপদেশ দেয় । উদাহরণতঃ মদখোর মদের নেশায় বুঁদ হ'য়ে থাকলে ও নিজে চায়না যে গাড়ির ড্রাইভার মদ খেয়ে তার গাড়ি চালাক । নিজে ঘুষখোর হ'লে কি হবে, অন্যে যেন দুধে জল না মিশ্রিত ক'রে, কারণ দুধ কিনতে গিয়ে তাকেই সে দুধ কিনতে হ'তে পারে ।এতো গেল একটা দিক । অন্য পক্ষে নিজেকে এবং অন্যকে হিতোপদেশ না দেওয়া হ'ল পুরোপুরি শয়তানের ধোঁকা । শয়তান চায় না যে, এই ধুলির ধরায় মানুষেরা সুখে শান্তিতে বসবাস করুক । বরং চরিত্রে এবং পরিবেশে ধুলাবালি আর নোংরায় ধুসরিত হ'য়ে থাকুক । কেহ কাউকে যেন ভালকথা না বলে । পাছে ভালকথার প্রভাবে কোন বদ সৎ হ'য়ে গেলেই তো বিপদ। তাই এত যুক্তির বিস্তার । আদতে ভালর বিপক্ষে যত যুক্তি আমরা দেখি সবই শয়তান বা মানবরুপী শয়তানের কুযুক্তি কিংবা প্রবঞ্চনা ।
একটি বাস্তব উদাহরণ সহযোগে বিষয়টি হৃদয়ঙ্গম করার চেষ্টা করি । মনে করি আমার কাছে ৫ টাকা মুদ্রামানের দুটি মুদ্রা আছে । অসতর্কতার কারনে একটি মুদ্রা হারাইয়া গেলে, রক্ষিত মুদ্রাটি কি কেহ ডাষ্টবিন কিংবা পথিপার্শ্বের নর্দমায় নিক্ষেপ করিবে । কস্মিনকালে ও কোন বুদ্ধিমানের দ্বারা এ কাজ হইবেনা । বুদ্ধিমান জানে যে, দুইটি মুদ্রার মূল্যমান দশ টাকা ছিল । প্রয়োজনে সে দশটাকা মূল্যের দ্রব্য খরিদ করিতে পারিত বা দশটাকা মূল্যের যে কোন সুবিধা গ্রহন করিতে পারিত । যেহেতু, দুর্বিপাকে একটি মুদ্রা হারিয়া গিয়াছে অর্থাৎ পাঁচ টাকা ক্ষতি হয়েছে তো রক্ষিত পাঁচ টাকাতে অন্যান্য কার্যাদি চালিয়ে নিতে হবে । এই কথাগুলি বলার উদ্দেশ্য হ'ল, আমরা মানুষ সমাজবদ্ধজীব । যেহেতু, সমাজ থেকে আমি বহুবিধ সুবিধা অর্জন ক'রে থাকি
তাই সমাজের প্রতি আমার মাত্র দুটি দায়িত্ব ও নিজের জন্য দুটি কর্ত্তব্য আছে । (১) নিজে সৎভাবে জীবনযাপন ও সৎ্কাজ করা । (২) অন্যকে সৎভাবে জীবনযাপনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা বা হিতোপদেশ দেওয়া । মনে রাখা কর্ত্তব্য যে, উভয়টিই আমার নিজের উপকারার্থে । যেমনভাবে আমার সঞ্চিত পাঁচটাকা মুদ্রামানের মুদ্রাদুটির উপযোগীতা ছিল । সুতরাং নিজে সৎভাবে জীবনযাপন ও সৎ্কাজ করতে ব্যর্থ হ'লে অন্যকে সৎভাবে জীবনযাপনের হিতোপদেশ দেওয়া,  পরিত্যাগ করা উচিৎ নয় ৷ আপনি নিজেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন এবং পছন্দনীয় বিষয় গ্রহন করুন ।
 আমি যদি একজন মুসলিম হই, তাহ'লে কোরআন পাকের সুরা আল-ইমরানের ১০৪ নং আয়াতে দেখতে পাই ।
 وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ﴿١٠٤﴾  অর্থ তোমাদের মাঝে একটি দল হওয়া উচিত যারা মানুষকে সৎকাজের প্রতি আহবান জানাবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে এবং তারাই হবে সফলকাম ।
 উল্লিখিত আয়াতটির পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, এখানে আল্লাহ রব্বুল আলামিন মুসলিম উম্মাকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন অন্যকে হিতোপদেশ প্রদান করে । এখানে কোন ক্রমেই বিধৃত হয়নি,
 একমাত্র ১০০ ভাগ নির্দোষ ব্যক্তিরাই মাত্র অন্যকে সদুপদেশ প্রদান করবে এবং অন্যায় কাজে বাধা দিতে পারবে । সুতরাং নিজের চরিত্রে কিছু বদগুণ থাকা সত্বে ও অন্যকে হিতোপদেশ দেওয়া ধর্ম,
 নীতিবোধ,ন্যায় এবং সমাজ ও সময়ের দাবী । আমার কর্ত্তব্য । আমার প্রতি দায়িত্ব ।  অন্যে যদি আমার হিতোপদেশের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে বা সেমতে কার্য করতে অক্ষম হয় সে বিফলতা আমার নয় বরং তারই যে হিতোপদেশ মত কাজ করতে পারল না ।

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
                                                                                                                                         

         

Saturday 18 May 2013

ইসলাম ও আমরা । ডাঃ শাহ আলম (ঢাকা)

আমাদের সমাজে কত রকম মানুষ, কত রকম মুসলমান। কেউ নামায পড়ে, কেউ পড়েনা, কেউ ভাল কাজ করে, কেউ খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে। এতসব কাজের মধ্যে যে কাজটি আজকাল অহরহ চোখে পড়ে, তা হচ্ছে হাসির ছলে না বুঝে ইসলাম বা মুসলমানদের কোনো বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা।বন্ধুদের আড্ডায় আপনিও হয়তো শুনেছেন, ওই দেখ, হুজুরের কি সুন্দর ছাগলা দাড়ি!! সবার সাথে আপনিও হয়তো হেসে ফেললেন হো হো করে। কথা কথায় কারো অক্ষমতা বোঝাতে ‘মোল্লার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত’ কথাটি আমরা প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি(যদিও আমি জানি মোল্লার দৌঁড় জান্নাত পর্যন্ত)। কখনো ভেবে দেখেছেন, এ কথায় কাকে ঠাট্টা করা হল- আল্লাহর ঘর মসজিদ নাকি মোল্লা মৌলভীকে? আমাদের নাটক সিনোমাতেও কখনো কখনো না বুঝে ইমাম বা হুজুর চরিত্র রূপায়ন করা হয় কোনো একটি নেতিবাচক বিষয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে, এতে দর্শকদের মনে জন্ম নিতে পারে বিরূপ ধারণা। প্রিয় পাঠক, আল্লাহ পাকের কাছে যে বিষয়গুলো অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তিনি যেগুলোর কারণে বান্দার সব আমল বাতিল করে দিতে পারেন, এসবের অন্যতম হচ্ছে- দ্বীন ইসলাম বা ইসলাম সর্ম্পকিত কোনো বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করা। শুধু কি আমল বাতিল হয়ে যাওয়া, বরং কোনো কোনো কথা ও ঠাট্টা তো আপনাকে ইসলাম থেকে বের করে দেবে আপনার অজান্তেই।এজন্যই আলেমরা বলেন, নামাজ না পড়া কুফুরী নয়, কিন্তু নামাজ বা নামাজীদের নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য কিংবা তামাশা করা কুফুরী। মুনাফেকদের প্রথম পরিচয় ছিল, তারা মুসলমানদের নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তাদের বোকা ভাবতো। আল্লাহ পাক তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তারাই বোকা অথচ নিজেরা তা জানে না।’ (সূরা বাকারা-১৩) ইমাম ইবনে কুদামাহ লিখেছেন, যে আল্লাহকে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় গালি দিল, কিংবা যে আল্লাহ বা তার রাসুল কিংবা দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করল, সে কাফের হয়ে গেল। (আল মুগনী)ইমাম নববী বলেন, স্বেচ্ছায় কিংবা কেউ যদি স্পষ্টভাবে এমন কোনো কথা বলে যা আল্লাহ ও তার রাসুলের কোনো বিধানকে তুচ্ছ করে, তা অবশ্যই কুফুরী।ইমাম কুরতুবী লিখেছেন, মজা করার জন্য হোক বা সত্যি সত্যি হোক, ইসলামের কোনো সাধারণ বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করাও কুফুরী। এতে কারো দ্বিমত নেই।ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, দ্বীনের যে কোনো স্পষ্ট বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা কুফুরী। যে এমন করল তার ঈমান ধ্বংস হয়ে কুফুরীতে পরিণত হল।আর তাই কোনো একজন সাধারণ মানুষ, যে দাড়ি রেখে দ্বীনের ওপর চলতে সচেষ্ট, যে নারী পর্দা রেখে চলতে চায়, তাকে যদি এ কারণে কেউ তুচ্ছ ভাবে কিংবা তামাশার দৃষ্টিতে দেখে, তবে নিশ্চয়ই বিষয়টি গিয়ে দ্বীনের সীমারেখা পর্যন্ত পৌঁছে, যা অত্যন্ত ভয়ানক বিষয়। অনেক নামাযী মানুষ কিংবা দাড়িওয়ালা হয়তো অপকর্মে লিপ্ত, তার কর্মের জন্য সে নিজেই দায়ী। ধর্মের লেবাসধারীর অপকর্মের দায়ভার কোনো মতেই ধর্মের নয়। তাই তার ধর্মকে গালমন্দ করা বৈধ নয়, কারণ এটি তার স্বভাবের দোষ, তার নামায কিংবা আমলের এতে কোনো হাত নেই। অহরহ পথে ঘাটে এসব বিষয় নিয়ে ‘মশকরা’ করায় মানুষ নিজের অজান্তেই তার দ্বীন থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যেতে পারে, সামান্য ‘বিদ্রুপে’ শেষ হয়ে যেতে পারে এতদিনের সব নেক আমল।আল্লাহ পাক এমন লোকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, আমরা একটু হাসি তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে এবং তার আয়াতসমূহ ও তার রাসুলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছ? তোমরা কারণ দেখিয়ো না, তোমরা তো তোমাদের ঈমানের পরও কুফুরী করে ফেলেছো।’ (সূরা তওবা-৬৫-৬৬)পবিত্র কুরআনে অভিশপ্ত জাতিদের যেসব ঘটনা বিবৃত রয়েছে, তারা তাদের নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতো, নবীর অনুসারীদের নিয়ে পথে ঘাটে বিদ্রুপ করতো, আল্লাহ পাক তাদের সমুচিত জবাব দিয়েছেন, পরকালেও তাদের এর বদলা দিবেন আল্লাহ। মদীনার মুনাফিকদের অবস্থাও ছিল একই রকম। যা হাদীসের বিভিন্ন কিতাবের বিবরণে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত।খুব সংক্ষেপে কিছুটা হলেও আপনি হয়তো এর ভয়াবহতা অনুমান করতে পেরেছেন। আর তাই আজ থেকে সব বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা নয়, ইসলাম এবং এর সাথে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য নয়, সামান্য একটু হাসির জন্য নিজের সব ঈমান আমল বিকিয়ে দেওয়া কোনো সচেতন বুদ্ধিমানের কাজ নয়।  (কপি এবং সংশোধিত)

Saturday 8 December 2012

আমি নিজে কি করি।


''যুগ বড় খারাপ''।''সবাই আছে নিজের চিন্তায়''।''নীতি নৈ্তিকতা ও ভদ্রতার মৃত্যু ঘটেছে''।''মানুষ আল্লাহ ও আখেরাতকে ভুলে গেছে''।
এ জাতীয় কথা আমরা প্রত্যেকদিনই শুনে থাকি বলে থাকি।যে কোন আড্ডায় যাবো,সেমিনার,আলোচনায় যাই না কেন ঘুরে ফিরে এসব কথা থাকবেই।এই অভিযোগ গুলোও খুব অবান্তর নয়,এই কথা গুলোও খুব অযৌক্তিক নয়।যতই দিন যাচ্ছে অন্যায় আর দুর্নীতি আমাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।আবার যদি অন্যদিকে তাকাই তাহলে দেখব,সমাজ সংস্কারের জন্য আমাদের চারপাশে চেষ্টারও কমতি নেই!হাজার হাজার সংস্থা,সংগঠন,কত শত দল সবার উদ্দেশ্যও প্রায় একই..দেশের সেবা করা,দেশের উন্নতি করা,মানুষের মতো মানুষ হওয়া।
কিন্তু তারপরেও আমরা আশার তেমন কোন আলো দেখতে পাই না।তেমন কোন উন্নতিও দেখতে পাই না।দিন যাচ্ছে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে,অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছি আমরা,আরো হিংস্র হয়ে যাচ্ছি,আরো স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি..কেন?!!
হয়তো এর পেছনে অনেক কারণ ই আছে,তবে আজকে আমি একটা কারণ কে ফোকাস করব।
দিন দিন আমাদের সমাজের প্রকৃ্তি এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে,আমরা অন্যের সমালোচনা করতে,অন্যের দোষ ধরতে খুব বেশি পছন্দ করি,অন্যের দোষ ঘাটাঘাটি করতে করতে মুখে ফেণা তুলে ফেলি,অথচ খুব ভালো করেই জানি এটা সংশোধনের কোন বাস্তব সম্মত পন্থা নয়।আমরা অবক্ষয় আর অধঃপতন নিয়ে সমালোচনা করার জন্য নিত্য নতুন পন্থা আবিস্কার করে চলেছি অথচ এ সমস্ত অবক্ষয়কে রোধ করার জন্য কোন পদ্ধতি ঠিক ভাবে মানতে আমরা রাজী নই!মনে হয় আমাদের মাথায় একটা কথা খুব ভালো ভাবে গেঁথে গেছে আর তা হল,আমি ছাড়া আর দুনিয়ার সবাই খারাপ।খুব কম মানুষই আমরা চিন্তা করে থাকি যে আমাদের নিজেদের ও অনেক দোষ আছে,সে গুলো সংশোধন করা খুব জরুরী,কারন,আল্লাহ আমাকে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে সংশোধন করার যোগ্যতা দিয়েই পাঠিয়েছেন।
আমি সংস্কার আন্দোলন করে যাচ্ছি দিনের পর দিন,অথচ আমার নিজের ভেতরই হাজারো কুসংস্কারে ভরপুর,তাহলে আমার পরিশ্রম আমাকেই কি দেবে আর সমাজকে কি দেবে?!
আমি রাষ্ট্রের সমস্যা নিয়ে রাত দিন চিন্তা করে যাচ্ছি,রাস্তায় বের হলেই হাজারো দোষ আমার চোখে পড়ছে,কিন্তু আমি নিজেই জানিনা আমার চিন্তা গুলো কতটা সঠিক,আমি যে ভুল গুলো ধরছি তা আসলে কতটা যৌক্তিক,তাহলে কি পরিচয় দাড়াচ্ছে আমার চিন্তার?!
অনেক ভাইদের কে দেখি আজকাল কার মেয়েরা কিভাবে চলাফেরা করে এই টপিকসে কথা বলতে বললে এমন সব ভুল ধরে যে নিজের অজান্তেই বলতে হয়,ভাই আপনি এত কিছু খেয়াল করেছেন মেয়েদের?!!
অনেককে যদি প্রশ্ন করি আমাদের ভবিষৎ জেনারেশন সম্পর্কে আপনার ধারনা কি?উত্তরে এমন লেকচার শুনান যেন দুনিয়ার সব থেকে খারাপ বৈশিস্ট্য আমাদের এই জেনারেশনের আর ভবিষৎ জেনারেশনের আছে,এরা সীসা খায়,ড্রিংকস করে..ইত্যাদি অথচ সে নিজেই একজন চেইন স্মোকার।কথায় কথায় গালাগালি করেন..তাহলে উনারা কি শিখাচ্ছেন বর্তমান আর ভবিষৎ কে..?!
দুর্নীতি আমাদের সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে,এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়ের আড্ডায় দেয়া হচ্ছে হাজারো লেকচার,কিন্তু যদি ঐ ছাত্রকে প্রশ্ন করা হয় মাস্টার্স শেষ করে কি করবেন?উত্তরে বলবে,বিসিএস দিব,কারণ যেভাবে খুশী ভালো ইনকাম করা যায় আবার সম্মানো আছে..!
আবার অনেকে এভাবেও বলেন,সবাই খারাপ হচ্ছে আমি আর কত ভালো থাকবো..''এগুলা হচ্ছে খারাপ সময়ের ফল..''ইত্যাদি
অথচ আল্লাহ কোরআনে বলেছেন,
''হে মুমিনগণ,তোমরা নিজেদের চিন্তা কর।তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ,তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। (সূরা-মায়েদাহ,১০৫)
অন্যের সমালোচনা করা,বা দোষ ধরে তাকে হেয় করা বা খারাপ ভাবা সমস্যা সমাধানের কোন পথ না।বরং এটা সমস্যা আরো বৃ্দ্ধি করে,অশান্তি সৃষ্টি করে।
আমি আজ অন্যকেউ ঘুষ খায় বলে তার সমালোচনা করছি অথচ নিজের কোন দোষের কথা যদি বলা হয় সাথে সাথে অজুহাত দাড় করিয়ে ফেলছি।
আমি সমাজের দুর্নীতির কথা বলছি কখনো কি ভেবে দেখেছি আমি নিজে কোন ভাবে এর সাথে জড়িত আছি কি না?!
আমি সমাজে ইসলামী অনুশাসন নেই বলে ক্ষোভ দেখাচ্ছি অথচ আমি নিজে কতটা ভালোবেসে ইসলামকে মেনে চলছি বা অন্যকে মানতে বলছি সেটাকি ভেবে দেখেছি?
আজকাল ব্লগে যেকোন ইস্যু নিয়ে বিশাল সমালোচনার ঝড় উঠিয়ে ফেলি,অথচ আমি নিজে কয়বার নিজেকে বিবেকের আয়নায় দাড় করিয়ে নিজের দোষ গুলো ধরে থাকি?ভেবেছি কি?
হুমায়ন আহমেদ কেন দুই বিয়ে করলেন সেই ইস্যুতে গলা ফাটিয়ে ফেলছি,অথচ ব্যক্তি জীবনে কিংবা আমার কাছেরই কেই হাজারো অবৈ্ধ প্রেম করে বেড়াচ্ছে,বিয়ের পরে আরেকজনের সাথে সময় কাটাচ্ছে,আমি কি কখনো তাকে না করেছি?চেষ্টা করেছি মন থেকে?
যাইহোক,এভাবে প্রশ্ন করতে থাকলে হাজার প্রশ্ন হতে থাকবে তাই আর না ই বলি,কারন বুদ্ধিমানের জন্য একটু ইশারাই যথেষ্ট।
আমরা জানি,একটি প্রদীপ থেকে জ্বলতে পারে হাজারো প্রদীপ। আমাদের চেষ্টা করা উচিত নিজেকে সেরকম একটি প্রদীপ হিসেবে তৈ্রী করা।পৃথিবীতে এমন উদাহরন অনেক আছে যারা জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে অবস্থান করেও নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
এরা সৎ এবং পবিত্র ভাবে জীবন যাপন করে মরে যাননি।
রাসূল (স) হাদীসে বলেছেন,
''যে ব্যাক্তি বলে বেড়ায় যে,মানুষ ধংস হয়ে গিয়েছে,তাহলে প্রকৃ্তপক্ষে মানুষের মধ্যে সর্বাধিক ধংসগ্রস্থ লোক সে নিজেই।(মুসলিম)
আল্লাহ আমাদের সেই মানুষ এর দলে না ফেলুক এই দোয়াই করি।আমীন। 

Thursday 8 November 2012

প্রকৃত আলিম নবী (দঃ) গণের উত্তরাধিকারী।


১. একজন আ’লিম নাবী-রসুল আলাইহি আসসালামদের উত্তরাধিকারী।
রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

إن العلماء ورثة الانبياء

‘আ’লিমগণ নাবীদের উত্তরাধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ- ২১৭৬৩, সুনান আবু দাউদ – ৩৬৪১, সুনান তিরমিযী – ২৬৮২, সুনান ইবনে মাজাহ – ২২৩, সহীহ ইবনে হিব্বান- ৮৮, শুয়াবুল ঈমান – ১৬৯৬, আলবানীর মতে সহীহ, দেখুনঃ সহীহ ও জয়ীফ সুনান ইবনে মাজাহ – ২২৩)

ইবনে হিববান (র.) বলেন : ‘এই হাদিস
ে পরিস্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, পূর্বে উল্লেখিত গুণাবলী সম্পন্ন আলিম হচ্ছেন তাঁরা, যারা অন্যান্য সকল ইলম ছাড়াও মানুষকে নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জ্ঞান শিক্ষা দেন। তুমি কি দেখোনা, তিনি বলেছেন : ‘আলিমরা নাবীদের উত্তরাধিকারী।’ নাবীরা ইলম ব্যতীত অন্য কোন উত্তরাধিকার রেখে যান না। আর আমাদের নাবীর জ্ঞান হচ্ছে তাঁর ‘সুন্নাহ’। তাই থেকেই সুন্নাহ শিক্ষা হতে বঞ্চিত, সে তাঁর উত্তরাধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত নয়।’ (আল ইহসান ফি তাক্বরীব সহীহ ইবনে হিববান, ১/২৯৫, ৮৮নং পয়েন্ট)

সুতরাং, তাঁদের কথা, কাজ, ইবাদাত, বিশ্বাস, আল্লাহর দিকে দাওয়াত ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে নাবী-রসুল আলাইহি আস্ সালামদেরকে যে যত বেশি অনুসরণ, অনুকরণ করবেন, তিনি তাঁদের উত্তরাধিকারী হিসেবে ততটুকু অগ্রগামী হবেন ।

উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত মুহাদ্দিস বদরউদ্দিন আইনী (র.) বলেছেন : ‘এই অধ্যায়ের এই নামকরণের মাধ্যমে তিনি (ইমাম বুখারী (রহ.)) এই ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছেন যে, আল-কুরআনে এই কথার পক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে।’ (দেখুন ‘উমদাতুল ক্বারী’ শার্হ সহীহ বুখারী, ২/৪৯৭)

রুদ্দুল মুহতারে এই হাদিসের আলোকে বর্ণনা করা হয়েছে যে, আলিমরা ও নাবীদের মতো রাস্ট্র পরিচালনা (সিয়াসাহ্) করবেন।’ (১৫ খন্ড, ৩২ পৃ.)

ইমাম ছারকাসী (র.) উক্ত হাদিসের আলোকে নাবীদের প্রধান দুই কাজ : মানুষকে দাওয়াত দেয়া এবং জাহান্নাম হতে সতর্কীকরণের ক্ষেত্রে আলিমরা নাবীদের উত্তরাধিকারী বলে বর্ণনা করেছেন। (দেখুন : আল মাবসুত, ১/১৫৮৮)

যে আলিম ছয়টি ক্ষেত্রে নাবীদের অনুসরণ করেন, তিনি মাত্র পাঁচটি ক্ষেত্রে অনুসরণবাহী আলিম হতে নাবী-রসুলদের উত্তরাধিকারী হিসেবে অধিক স্বার্থক। যিনি সকল নাবী-রসুলদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণর্ কাজসমূহ হতেও পিছিয়ে আছেন, দূরে থাকেন, কিংবা ভয়ের কারণে অনুসরণ করতে পারেন না, তিনি আদৌ নিজেকে তাঁদের উত্তরাধিকারী দাবী করতে পারবেন কিনা, ভেবে দেখা উচিৎ।

রসুলূল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :
عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تزول قدم ابن آدم يوم القيامة من عند ربه حتى يسئل عن خمس عن عمره فيم أفناه وعن شبابه فيم أبلاه وماله من أين اكتسبه وفيم أنفقه وماذا عمل فيما علم. سنن الترمذي - قال الشيخ الألباني : حسن

পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগ পর্যন্ত কোন আদম সন্তান কিয়ামতের দিন নিজ স্থান থেকে এক পা নড়তে পারবে না। তোমার জীবন কিভাবে ব্যয় করেছো? তোমার যৌবনকাল কিভাবে ব্যয় করেছো? ধন-সম্পদ কোন পথে আয় করেছো? আর কিভাবে তা ব্যয় করেছো? যে পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করেছিলে, তা কতটুকু বাস্তবায়ন করেছিলে?’ (সুনান তিরমিজী- ২৪২২)

যদি কেউ নবীদের জ্ঞানের উত্তরাধিকারী হয়ে থাকেন, আর সে জ্ঞান অনুযায়ী কাজ না করেন, তাহলে ঐ জ্ঞানই আখিরাতে তার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ সেখানে সবাইকে প্রশ্ন করা হবে। সুতরাং ইলমের বাস্তবায়নে যে যত অগ্রসর, নাবীদের উত্তরাধিকারী হিসেবে তিনি তত স্বার্থক।

Monday 5 November 2012

Fat burning juice.

Fat burning juice.Asparagus
Asparagus contains the chemical asparagine. This is an alkaloid that stimulates the kidneys and improves the circulatory process. These alkaloids directly affect the cells and break down fat. It also contains a chemical that helps to remove waste from the body by breaking up the oxalic acid; this acid tends to glue fat to cells, and so by breaking the acid up, it
helps to reduce fat levels.


Beets
Beets are a strong diuretic that focuses on the liver and kidneys. Beets flush out floating body fats. They have a special iron that cleanses the corpuscles. Corpuscles are blood cells that can contain fat deposits.

It also contains a chlorine that also helps to flush out fatty deposits. This chlorine stimulates the lymph which will clear out the fat deposits.

Brussel Spouts
This vegetable stimulates the glands, the pancreas especially, which releases hormones that have a cleansing effect on the cells. There are also minerals that stimulate the kidneys. Waste is released quicker and it helps to clean out the cells.

Cabbage
This cleanses your body of waste matter because it contains sulphur and iodine, which helps to cleanse the mucous membrane of the stomach and intestines. Cabbage is a great food if you should have a pot belly or a middle age spread. The diuretic cabbage will help to break up the fat in this area.

Carrots
Carrots contain carotene, a form of Vitamin A. This carotene will start a fat flushing reaction in your system. This reaction will literally wash out fat and waste quickly. The carotene will be transformed into vitamin A in the intestines and this process will create a speed up in your metabolism and cause a reaction in your cells to remove fat deposits.

Celery
Raw celery has a high concentration of Calcium in a ready to use form, so when you eat it, the calcium is sent directly to work. This pure form of Calcium will ignite your endocrine system. The hormones in your body will break up the accumulated fat build up. Celery also has a high level of magnesium and iron which will clean out your system.

Cucumber
Cucumber contains a high sulphur and silcon content. These minerals work to stimulate the kidneys to wash out uric acid, which is a waste product. With this uric acid being washed out, it stimulates the removal of fat, and loosens the fat from the cells.

Garlic
Garlic is a natural diuretic. Garlic has mustard oils and these oils create a cleansing action in the body. They promote a vigorous action of peristalsis, which is muscular contractions, and this will loosen fat and help wash out fats. They can also breakdown clumps of fat. So eat garlic and thin down.