এ কথাটা নিখাদ সত্য যে, যে সময় মহামানব ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ইহ-পরকালের মুক্তির দ্বীন,ইসলাম নিয়ে ধরাধামে অবতীর্ণ হ'ন বিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে এত উন্নত ছিল না । আজিকার মত বিশ্বময় দ্রুততম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ছিল না । বলাবাহুল্য, বর্তমান জমানায় এই দ্রুততম যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিরই ফসল । আজ আমাদের মনে বাসনা জাগ্রত হওয়া মাত্রই সহস্র নয় কয়েকসহস্র কিলোমিটার দুরের মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ বা প্ত্র বিনিময় করতে পারি । সুখে-দুখে, হর্ষ কিংবা বিষাদে মাত্র কয়েক সেকেণ্ড সময়ের ব্যবধানে অট্টহাস্য কিংবা বিলাপে মুখরিত ক'রতে পারি । এতকিছু সুফল পাওয়ার পর ও কি আমরা ফিরতে পারি সেই যুগে, যে যুগে একটা সংবাদ মাত্র পৌছাতে সময় লাগত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক মাস এমন কি বছর ও ।
এই বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান মনস্কতা আজ আমাদের দেহ-মনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে । কাছাকাছি অনেকটা গোঁড়ামিতে পৌছে গেছি । বিশ্বের প্রায় প্রতিজন, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান ও ব্যবস্থাপনা ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, ভাবি । শয়নে,স্বপনে, ভোজনে, বিলাসে বিজ্ঞান প্রসুত প্রযুক্তি আজ আমাদের নিত্য সঙ্গী । পাশাপাশি সাহিত্য,দর্শন, ইতিহাস,যুক্তিশাস্ত্র ও রাজনীতিতেও অনেক এগিয়ে গেছি । মায় মানব সভ্যতা বিধ্বংশী কলা শিল্পে ও পিছিয়ে নাই । এক কথায়, সে যুগ আর এ যুগের মাঝে বিস্তর ফরাক । ঐতিহাসিক কিংবা ফেলে আসা প্রাগৈতিহাসিক যুগের জীবন জীবিকা, ভাবধারা, চিন্তাধারা আজ প্রায় শতকরা ৯৯ জনের কাছে অপাংতেয় । প্রায় সকলেই চায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র হোক যুক্তিনির্ভর আধুনিকতায় ভরা । ভাবতে অবাক লাগে, যারা আমরা এরুপ চিন্তায় অভ্যস্থ, তারা কিন্তু সকলেই যুক্তিনির্ভর শাস্ত্রে কিংবা দর্শনের পণ্ডিত নই । ফলতঃ কোন ক্ষেত্রে কোন যুক্তি প্রযোজ্য অথবা অপ্রযোজ্য তাই জানিনা, সুতরাং এই বিজ্ঞান মনস্কতাই আবার জন্ম দেয় নব নব সমস্যার । কে বোঝাবে তাদের কাকে বলে সাক্ষ্য আর কাকে বলে সংবাদ । কে বোঝাবে রাজনীতি,অর্থনীতি, ধর্মনীতি ও সমাজনীতির মাঝে প্রভেদ ?? ওরা যে স্বার্থটাকেই আঁকড়ে ধ'রে ভাবে আমরা ধার্মিক, রাজনীতিক ও নৈয়ায়িক ? সাধারন অসাধারণের বাছ বিচার এখানে নেই । বহু পণ্ডিত ও আলেমকে আপনি দেখবেন রাজনীতির মানদণ্ড দিয়ে ধর্মের ধ্বজা বহন করছে, অথচ সে রাজনীতি ধর্মের অনুমোদন পায়নি । পক্ষান্তরে বহু সাধারণ অশিক্ষিত জনকে দেখবেন ওরা ধর্ম পালন করে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় আর রাজনীতি যদি ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তবে তা বর্জন করে,অন্যথায় মেনে নেয় । যাক গে সে সব কথা । যা বলছিলাম । ইসলামের প্রাথমিক কালে এত আধুনিকতা না থাকায় আজ যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন ? যেমন ধরুন প্রতিদিন নামাজ পড়তে আমাদের সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয় ।বছরে ১ মাস রোজা করতে চাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয় । এছাড়া হজ্ব,কোরবানী, ইদ্দত, তালাক, শবে কদর,আশুরা ইত্যাদির জন্য চান্দ্র মাসের গনণা প্রয়োজন হয়ই হয় । এক্ষেত্রে বিশেষতঃ নামাজে আমরা ঘড়িকে মানদণ্ড করব নাকি সূর্যের অবস্থানকে ? চান্দ্রমাস গনণা করতে দুরের সংবাদ নাকি স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা বা সাক্ষ্যভিত্তিক প্রত্যয় নিয়ে চান্দ্রমাসের শুরু এবং শেষকরা ? এ ব্যাপারে ধর্মীয় বিধানের পর্যন্ত্য অপব্যাখ্যা করতে, আমরা ছাড়ছি বলে মনে হয়না । আমি বলি বিজ্ঞানের সুফল ভোগ করা ভাল, কিন্তু আপনার ধর্মীয় সকল বিধানকে বাদ দিয়ে নয় । বিজ্ঞান মনস্কতা ভাল, গোড়ামি নয় । বিজ্ঞান আল্লাহর দেওয়া মঙ্গলের অন্যতম । একে কাজে লাগিয়ে মানুষ কিংবা ইসলাম খুন করা অমঙ্গল ছাড়া কিই বা হ'তে পারে?
এই বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান মনস্কতা আজ আমাদের দেহ-মনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে । কাছাকাছি অনেকটা গোঁড়ামিতে পৌছে গেছি । বিশ্বের প্রায় প্রতিজন, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান ও ব্যবস্থাপনা ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, ভাবি । শয়নে,স্বপনে, ভোজনে, বিলাসে বিজ্ঞান প্রসুত প্রযুক্তি আজ আমাদের নিত্য সঙ্গী । পাশাপাশি সাহিত্য,দর্শন, ইতিহাস,যুক্তিশাস্ত্র ও রাজনীতিতেও অনেক এগিয়ে গেছি । মায় মানব সভ্যতা বিধ্বংশী কলা শিল্পে ও পিছিয়ে নাই । এক কথায়, সে যুগ আর এ যুগের মাঝে বিস্তর ফরাক । ঐতিহাসিক কিংবা ফেলে আসা প্রাগৈতিহাসিক যুগের জীবন জীবিকা, ভাবধারা, চিন্তাধারা আজ প্রায় শতকরা ৯৯ জনের কাছে অপাংতেয় । প্রায় সকলেই চায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র হোক যুক্তিনির্ভর আধুনিকতায় ভরা । ভাবতে অবাক লাগে, যারা আমরা এরুপ চিন্তায় অভ্যস্থ, তারা কিন্তু সকলেই যুক্তিনির্ভর শাস্ত্রে কিংবা দর্শনের পণ্ডিত নই । ফলতঃ কোন ক্ষেত্রে কোন যুক্তি প্রযোজ্য অথবা অপ্রযোজ্য তাই জানিনা, সুতরাং এই বিজ্ঞান মনস্কতাই আবার জন্ম দেয় নব নব সমস্যার । কে বোঝাবে তাদের কাকে বলে সাক্ষ্য আর কাকে বলে সংবাদ । কে বোঝাবে রাজনীতি,অর্থনীতি, ধর্মনীতি ও সমাজনীতির মাঝে প্রভেদ ?? ওরা যে স্বার্থটাকেই আঁকড়ে ধ'রে ভাবে আমরা ধার্মিক, রাজনীতিক ও নৈয়ায়িক ? সাধারন অসাধারণের বাছ বিচার এখানে নেই । বহু পণ্ডিত ও আলেমকে আপনি দেখবেন রাজনীতির মানদণ্ড দিয়ে ধর্মের ধ্বজা বহন করছে, অথচ সে রাজনীতি ধর্মের অনুমোদন পায়নি । পক্ষান্তরে বহু সাধারণ অশিক্ষিত জনকে দেখবেন ওরা ধর্ম পালন করে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় আর রাজনীতি যদি ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তবে তা বর্জন করে,অন্যথায় মেনে নেয় । যাক গে সে সব কথা । যা বলছিলাম । ইসলামের প্রাথমিক কালে এত আধুনিকতা না থাকায় আজ যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন ? যেমন ধরুন প্রতিদিন নামাজ পড়তে আমাদের সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয় ।বছরে ১ মাস রোজা করতে চাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয় । এছাড়া হজ্ব,কোরবানী, ইদ্দত, তালাক, শবে কদর,আশুরা ইত্যাদির জন্য চান্দ্র মাসের গনণা প্রয়োজন হয়ই হয় । এক্ষেত্রে বিশেষতঃ নামাজে আমরা ঘড়িকে মানদণ্ড করব নাকি সূর্যের অবস্থানকে ? চান্দ্রমাস গনণা করতে দুরের সংবাদ নাকি স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা বা সাক্ষ্যভিত্তিক প্রত্যয় নিয়ে চান্দ্রমাসের শুরু এবং শেষকরা ? এ ব্যাপারে ধর্মীয় বিধানের পর্যন্ত্য অপব্যাখ্যা করতে, আমরা ছাড়ছি বলে মনে হয়না । আমি বলি বিজ্ঞানের সুফল ভোগ করা ভাল, কিন্তু আপনার ধর্মীয় সকল বিধানকে বাদ দিয়ে নয় । বিজ্ঞান মনস্কতা ভাল, গোড়ামি নয় । বিজ্ঞান আল্লাহর দেওয়া মঙ্গলের অন্যতম । একে কাজে লাগিয়ে মানুষ কিংবা ইসলাম খুন করা অমঙ্গল ছাড়া কিই বা হ'তে পারে?